
সিরাজগঞ্জে এবার পাট (সোনালি আঁশ) চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে এ পাট পুরোদমে কাটা শুরু হয়েছে। এ নতুন পাট বাজারে উঠছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ করেছে। নিচুু ও দোআঁশ জমিতে বিভিন্ন জাতের এ পাট চাষ করে। বিশেষ করে ইরি বোরো ধান কাটার পরে সেই জমিতে এ লাভজনক পাট চাষ করা হয়। এ জেলার চরাঞ্চলসহ কাজিপুর, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বেশি এ পাট চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব পাটের মধ্যে রয়েছে রবি ১, জেআরও ৫২৪ এবং দেশি ও তোষা ছাড়াও মেছড়া পাটও চাষ করা হয়। এ জেলার চলনবিল ঘেষা উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাট চাষ বেশি হয় এবং এবারও এ চাষে বাম্পার ফলনে সেরা এই উপজেলা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে এ পাট কাটা শুরু হয়েছে এবং সেই জমিতে রোপা আমন ধান চাষ (রোপণ) করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে খালবিলে এখন পানি সংকট কারণে এই পাট জাগ ও পচানে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকেরা এবং অনেক স্থানে স্বল্প পানিতে কস্তুরী দিয়ে পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকের কিছুটা ব্যয় খরচ বাড়ছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন নদীপাড় অঞ্চলে কৃষকেরা এ পাট জাগ ও পচনের পর সহজেই ঘরে তুলছে সোনালী আঁশ এবং উৎপাদনও ভালো হয়েছে। এ নতুন পাট বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করছে। এরইমধ্যে পাট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের এ পাট ক্রয় করে দেশের অনেক স্থানে সরবরাহ করছে। বর্তমানে প্রতিমণ পাট গড়ে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খরচ কম এ লাভে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এছাড়াও পাটের শাক বিক্রি করেছে এবং শোলা বিক্রি করেও কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহিদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন জাতের এ পাট চাষ করেছে কৃষকেরা। এবার এ চাষে বাম্পার ফলনও হয়েছে এবং গত বছরের চেয়ে এবার পাটের উৎপাদন বেশি। পাটের বাজার এখন ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আগামীতে এ পাট চাষে কষকেরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।