ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ছে ব্লক

নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ছে ব্লক

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের আখিরা শাখা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়ছে। এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। ভাঙন ঠেকাতে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ‘রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নদী তীর সংরক্ষণ, ছোট নদী, খাল-বিল পুনঃখনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন শিরোনামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে মতে আখিরার শাখা নদীর তীর সংরক্ষণে বাঁধ নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধণের কাজটি শুরু হয়। এ জন্য আখিরা শাখা নদী রক্ষায় চতরা ইউনিয়নের চতরা হাট এলাকায় ৮০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ কাজ শুরু হয়ে একই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, কাজ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে। তবে এ কাজের মান নিয়ে শুরু থেকেই এলাকাবাসীর রয়েছে নানান অভিযোগ। তাদের মতে নিম্নমানের কাজ, দুর্বল মনিটরিং এবং যথাযথ ডাম্পিং ছাড়া বৃষ্টির মধ্যে ব্লক বসানোর কারণে ব্লক ধসের ঘটনা ঘটছে। চতরা এলাকার গফুর মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত নদীর বাম সাইটের প্রায় ২০০ মিটার ব্লক ২ বার ধসে পড়েছে এবং ঠিকাদারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই মেরামত করছে। নদীর পানিতে ব্লক ডাম্পিং নেই, যে কারণে পানিতে ধসে পড়ছে ব্লক। একই এলাকার আশরাফুল ইসলাম জানান, জোড়াতালি দিয়েই চলছে নদী সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে বর্ষা মৌসুমে। ব্লকের কাজে ওই নদীর বালু মাটি ব্যাবহার করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু স্থানের ব্লক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ডাইস মেশানো ইটের খোয়া বেডে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও দেড় ইঞ্চি কোথাও আড়াই ইঞ্চির উপর ব্লক বসানোর কারণে ভেঙে ও ধসে পড়ছে।

এ ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ওখানকার কাজ দেবে গেছে এজন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত