
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জামায়াতে নেতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. শিপন আকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ বছর ধরে তিনি পালিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফতুল্লা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিআইবি)র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম কাওসার। গতকাল দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামে নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মির্জাগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের আমীর ও পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের প্রভাষক মাওলানা আব্দুল মান্নান। সেদিন সকালে নিহত আবদুল মান্নান পুকুরের পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটতে গেলে একই বাড়ির কেতাব আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কেতাব আলী ও তার ছেলে শিপন আকনসহ আরও কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাওলানা আবদুল মান্নানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আহত হন তার (আব্দুল মান্নান) ছেলে সাইদুল, হাসিব, চাচাতো ভাই আজহার ও তার ছেলে কামাল এবং শাকির। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবদুল মান্নান উপজেলার দেউলী গ্রামের মৃত রফেজ উদ্দীন হাওলাদারের ছেলে এবং পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে শিপন আকনসহ ১০ জনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।