ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন

পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়া পেলেন ২৮ জন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন

দিনভর নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন করতে গিয়ে আটক ২৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংগঠিত ঘটনার ব্যাপারে ৫টি বিষয় সমাধানে সর্বদলীয় একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কিতালে থানা থেকে একে একে ছাড়া পান আটক ২৮ জন। এরআগে সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া উপজেলা সদর স্টেশনের ফলিয়াপাড়া রাস্তা মোড় এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থল থেকে জুলাই আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিসহ ২৮ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে উখিয়া থানা প্রাঙ্গন ঘিরে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। নিক্ষেপ করে ইটপাটকেল।

ঘটনার পর থানা প্রাঙ্গনে যান বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, শিবির নেতারা। যেখানে দীর্ঘ বৈঠকের সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে আলোচনার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আটকদের। উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরী এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। ?তিনি বলেছেন, ঘটনার আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটকের ছেড়ে দেওয়ার দাবিসহ এ ব্যাপারে ৫টি বিষয় সামনে এসেছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন এবং আটকের ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক বিচার করতে হবে। গঠিত কমিটির একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন। আগামী ২৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজার সফরে শিক্ষকের চাকরির ব্যাপারে কমিটির বৈঠক করবেন এবং কথা বলবেন। গতকাল বুধবারের সংঘটিত ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছাড়া পেয়ে জিনিয়া শারমিন রিয়া বলেন, ‘আমরা অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু আমাদের মারধর করে থানায় আটকে রেখেছিল পুলিশ। পরে চিকিৎসা খরচ বহনের আশ্বাসসহ আলাপ-আলোচনা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের বিচার চাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার জেলার সদস্য সচিব সাগর উল ইসলাম বলেন, ‘আটকদের দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয়েছিল। পরে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এরআগে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা একই দাবিতে গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা উখিয়ার কোর্টবাজার স্টেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন গত ৩ জুন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে (আরআরআরসি) লেখা এক চিঠিতে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। এরআগেই চাকরিচ্যুত হয়েছে ১২৫০ আন্দোলনকারীরা শিক্ষক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত