ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অভয়নগরে সবজি ও মাছের বাজারে অস্থিরতা

অভয়নগরে সবজি ও মাছের বাজারে অস্থিরতা

যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, টমেটো, বরবটি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দামও খুচরা বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

গত রোববার উপজেলার নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া ও বেগুন ১২০ থেকে ১৫০, ওল ৮০ থেকে ১০০,করলা ৮০ থেকে ১০০, বরবটি ৬০ থেকে ৮০, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ১০০, পটল ৫০ থেকে ৬০, ঝিঙে ৮০ থেকে ১০০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০, রসুন ১০০ থেকে ১২০, আলু ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। সবচেয়ে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহ আগে কেজি প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ এখন বাজারে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ এখন ১৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির সঙ্গে বেড়েছে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম। ডিমের প্রকার ভেদে ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত।

মাছের বাজারের চিত্র আরও ভয়াবহ, গরিবের মাছ পাংগাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, এক কেজি আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়, বেড়েই চলছে বাটা, কাতলা, তেলাপিয়া, মৃগেলসহ প্রতিটি মাছের দাম। মাছ কিনতে আসা সোহাগ নামের এক ক্রেতা বলেন, এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মাছ না খেয়েই থাকতে হবে।

সিন্ডিকেট করে মাছের দাম বৃদ্ধির অভিযোগের ভিত্তিতে নওয়াপাড়া বাজারের মাছের আড়তদার কামরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধিকাংশ মাছের ঘের ডুবে যাওয়াতে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ার জন্য মাছের দাম বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ক্রেতাদের অভিযোগ কার্যকর মনিটরিং না থাকায় আড়ত থেকে খুচরা পর্যন্ত দামের অনেক পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। এতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়ে কষ্ট হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, জলাবদ্ধতা ও অতি বৃষ্টিতে উপজেলার ৭০ হেক্টর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়াতে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গেছে। বৃষ্টি কমে গেলে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত