
নড়াইলে হত্যা মামলায় পাঁচ ডাকাতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের ফলে ২৭ বছর পর পিতার হত্যার মামলার বিচার পেলেন পলি পোদ্দার। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আাক্তার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নড়াইল সদরের ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুড়ার জেলার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। এ সময আদালত তিন আসামিকে খালাস প্রদান করে। তবে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি চারজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘোমানোর পর রাত অনুমান ১১টার সময় অঞ্জাত আসামি গন নড়াইল সদরের পুলিশ সুপারের অফিসের পাশে ভওয়াখালী গ্রামে নির্মল পোদ্দারের বাড়িতে ডাকাতীর উদ্দেশে বাড়ির সব সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত পা বেঁধে ফেলে। এ সময় নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের রাম দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন। ডাকাতরা প্রায় দুই লক্ষ্য টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্মল পোদ্দার মারা যায়। এ ঘটনায় নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা করে।