ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া অপসারণে প্রশংসিত এলজিইডি

বরাদ্দ সাড়ে ১৯ কোটি টাকা
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া অপসারণে প্রশংসিত এলজিইডি

সিরাজগঞ্জে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে এলজিইডি বিভাগের নির্দেশে ওই খোয়া ও বালু অপসারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের মান উন্নয়নের জন্য ওই সড়ক খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সরকার জনস্বার্থে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বিভাগ নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহ্বান করে।

সরকারি বিধিমতে এ দরপত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এ কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু মিশিয়ে অধিকাংশ সড়কের ২ পাশের বাড়তি অনেক অংশেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ওই নির্মাণাধীন সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের খোয়া ও বালু স্তূপ করে রাখা হয়। এ বিষয়ে এলাকার অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বিষয়টি এলজিইডি বিভাগকে অবহিত করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেও প্রতিকার হয়নি। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নিম্নমানের কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়। তারা আরও বলছেন, তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এ প্রকল্প নির্মাণে সিডিউলমতে বাস্তবায়ন হলে জনস্বার্থে কাজে লাগবে এবং এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক এ বিষয়ে বলেন, এরইমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত খোয়া ও বালু সরায়নি।

অবশেষে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) রেজাউর রহমানকে অবগত করেন এবং তিনি দ্রুত ওই খোয়া বালু সরানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আলোকিত বাংলদেশকে বলেন, ওই প্রকল্পে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ওই প্রকল্প কাজের স্থান থেকে দ্রুত ওই খোয়া বালু অপসারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় দেওয়া হবে না। এরইমধ্যে এ প্রকল্পের কাজে কঠোর তদারকি ও নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে ওই নির্মাণাধীন সড়ক থেকে দ্রুত নিম্নমানের খোয়া বালু অপসারণ করায় এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে এলজিইডি বিভাগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত