বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে চেয়েছি। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার তা মেনে নিয়েছে, সেই জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে দল এমপি নির্বাচিত করবে। এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে না। তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে ২-১টি রাজনৈতিক দল অযৌক্তিক দাবি তুলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত বা পিছিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশ ও জনগণের সর্বনাশ করা। জনগণ আশা করছে বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ড. খন্দকার মোশাররফ গতকাল রোববার দাউদকান্দি সদরে ‘শহিদ রিফাত শিশু পার্কের’ সামনে মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এইসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ গত ১৫ বছরে কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে উম্মুখ হয়ে আছে। তারা ভোট দিয়ে পছন্দসই একটি দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে।
দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি বিএনপির প্রবীণ নেতা কেএম সামছুল হক, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ আবুল হাশেম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ লতিফ ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিমউদ্দিন আহমেদ, দাউদকান্দি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক পিটার চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর সদস্য সচিব কাউসার আলম সরকার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে দাউদকান্দিতে ধানের শীষের পক্ষে কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কয়েক হাজার জনতার অংশগ্রহণে স্মরণকালের এক বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন। বর্ণাঢ্য মিছিলটি জুলাই আন্দোলনে শহিদ ‘দাউদকান্দি সদরের শহিদ রিফাত শিশু পার্ক’ থেকে শুরু হয়ে দোনারচর সড়কপথে গিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টোলপ্লাজা হয়ে বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
