
নীলফামারীর ডোমারে কলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদনে তুলনামূলক কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা। উর্বর দো-আঁশ মাটি,পর্যাপ্ত রোদ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা কলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করে কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এনেছে।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী গ্রামের কলাচাষি ইব্রাহীম আলী জানান,গত পাঁচ বছর ধরে কলা চাষ করছি। এবারেও সাড়ে তিন একর জমিতে কলা চাষ করেছি।
মাটির গুণগত মান ভালো হওয়ায় চারা গাছগুলো ভালো হয়েছে। কলা চাষে রাসায়নিক সার, জৈব সার ও কিটনাশকের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও কলার ছড়ি আসার পর, ঝড় বৃষ্টির দিনে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ার জন্য বাশেঁর খুটির প্রয়োজন হয়।প্রাকৃতিক দূর্যোগে কলাগাছ ক্ষতিগ্রস্থ না হলে প্রতি বিঘায়(৩৩শতাংশে)দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার কলা বিক্রি করা যায়। একই এলাকার চন্দন রায় বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে কম খরচ। প্রতি বিঘায় আঠারো হতে বিশ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই লক্ষ টাকার অধিক কলা বিক্রি করা যায় ফলে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা এতে আগ্রহী হচ্ছেন।
কলা চাষি নুরুল হক জানান, ডোমার অঞ্চলের উর্বর দো-আঁশ মাটি ,পর্যাপ্ত রোদ এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধা কলা চাষের জন্য খুবই সহায়ক। কলা চাষি জয়নাল আলী বলেন, আবাদী জমি ছাড়াও পরিত্যক্ত ও অনাবাদি জমিতে কলা চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কলা চাষি ইউছুব আলী বলেন, সঠিক ভাবে পরিচর্চা করলে অন্যান্য আবাদের চেয়ে কলা চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে কলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছরে ত্রিশ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে।এ অঞ্চলের বেশিরভাগ কলা চাষি সাগর কলা, চম্পা কলা ও মানিক জাতের কলা চাষ করে থাকে।কলা চাষের উপযোগী মাটি হওয়ায় ফলনও ভালো হয়।