ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বইমেলায় ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’

প্রকাশ পেল দুই গান
বইমেলায় ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য গুণী সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর কণ্ঠে তার নিজেরই সুর করা দুটি নতুন গান প্রকাশ পেল। দুটি গানই তার ইউটিউব চ্যানেল ‘ফাহমিদা নবী’তে প্রকাশিত হয়েছে।

গান দুটি হচ্ছে ‘সেদিনও মুখর ছিলো শব্দহীন কথারা’ (লিখেছেন ফারজানা রহমান), ‘কাছের মানুষ দূরে যায়, দূরের মানুষ আসে কাছে’ (লিখেছেন ইলা মজিদ)। দুটি গানেরই সঙ্গীতায়োজন করেছেন সজীব দাস। ফাহমিদা নবী জানান দুটি গানই পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে এবারের বই মেলায় প্রথমবার ফাহমিদা নবীর লেখা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ পেল। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ফাহমিদা নবী তার নিজের ফেসবুকে নানা বিষয় নিয়ে তার নিজের অনুভূতি, অনুভব নিয়মিত লিখে আসছেন। তার লেখা কথাগুলো নানা সময় সমাজের নানা সমস্যা সমাধানেরও দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। যে কারণে অনেকেই তাকে নানা সময়ে অনুরোধ করেন এই লেখাগুলো বই আকারে যেন প্রকাশ করা হয় যাতে চাইলেও কেউ সেই বইটি সংরক্ষণে রাখতে পারেন। ভক্ত, পাঠকদের কথা বিবেচনা করেই ফাহমিদা নবী এবারের বই মেলায় প্রকাশ করেছেন তার নিজের জীবনের প্রথম বই ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’। প্রথমবার বই প্রকাশ করে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। গান নিয়ে কাজের ব্যস্ততা না থাকলে তিনি প্রতিদিনই বইমেলায় যেতেন। কিন্তু সামনে আরো নতুন নতুন গান আসবে বিধায় গানের জন্যও তাকে সময় দিতে হচ্ছে ভয়েজ রেকর্ডিংয়ে কিংবা মিউজিক ভিডিওতে। যে কারণে চাইলেও তিনি প্রতিদিন বইমেলায় যেতে পারেন না। তবে ফাহমিদা নবী জানান, আজ দীর্ঘ একটা সময় তিনি বইমেলায় থাকবেন। নতুন দুই গান ও নিজের জীবনের প্রথম বই প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘নতুন যে দুটি গান প্রকাশ পেলো দুটি গানেরই কথা ভীষণ সুন্দর। বিশেষ করে কাছের মানুষ দূরে যায়- গানটি প্রসঙ্গে বলতেই হয় যে, এটা কিন্তু আমাদের জীবন চলার পথে ভীষণ সত্যি, এমন অনেক মানুষ আছে যারা একটা সময় ভীষণ কাছের হয়। আবার একটা সময় দূরেও চলে যায়। আবার দূরে থাকা মানুষ তখন কাছে চলে আসে, আপন হয়ে যায়। এই গানটি আমার মনকে বেশি নাড়া দিয়েছে। চেষ্টা করেছি মনের মতো সুর করতে।

আশা করছি ভালোলাগবে শ্রোতা দর্শকের। আর আমার প্রথম বইটি প্রকাশের পর আমার ভক্ত শ্রোতাদের কাছ থেকে খুব সাড়া পাচ্ছি। সবার অনুরোধে এই বইটি হঠাৎ করেই প্রকাশ হয়ে গল। আমি এমনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম যে, হয়তো আগামীতে বই প্রকাশের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’ ফাহিমদা নবী জানান ২০০৩ থেকে ২০১৪ সময়কাল পর্যন্ত তিনি ‘আনন্দভূবন’, ‘আনন্দধারা’ ও ‘বিচিত্রা’য় ৫-৬টি গল্প লিখেছেন। সেই গল্পগুলোও বই আকারে প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত