দীর্ঘদিন পর ঈদের বিশেষ নাটকের জন্য গল্প দিয়েছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। রোমান্টিক এই নাটকে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই জুটির প্রথম নাটক ‘পথে হলো দেরি’। সেটি প্রচারের এক বছরের বেশি সময় পর এবার ঈদে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ফিরে আসা’ দিয়ে ফিরেছেন তারা। দুই বছর আগের তরুণ -তরুণীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘ফিরে আসার গল্প।
এই অভিনেতা নাটকটি নিয়ে বলেন, শুটিংয়ে আড্ডা হচ্ছিল। পরিচালক, চিত্রনাট্যকারসহ অনেকেই ছিলেন। সেখানে প্রথম গল্পভাবনাটি চিত্রনাট্যকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করি। তার কাছেও গল্পটা ভালো লাগে। পরে আমরা একাধিকবার সংযোজন বিয়োজন করে এটিকে প্রাণ দিয়েছি। ‘ফিরে আসা’ নাটকের চিত্রনাট্যকার মেজবাহ উদ্দীন সুমন জানান, আড্ডায় অপূর্ব গল্প ভাগাভাগি করেন। তখনই সেটা মনে ধরে যায়। সেই সময়ই চিত্রনাট্য লেখার পরিকল্পনা করেন তিনি। এই নাট্যকার বলেন, ‘অপূর্ব কিন্তু খুব বেশি গল্প দেন না। তবে যেটা ভালো লাগে, বার্তা বহন করে, সেগুলো শেয়ার করেন। তার গল্পের মধ্যে মানবিক বোধ থাকে। জীবনকে ভিন্নভাবে দেখা যায়। আমাদের চেষ্টা থাকে, গল্পটি দেখে কিছু দর্শক হলেও যেন বুঝতে পারেন যে জীবনকে সময় দেওয়াটা জরুরি।’ কী আছে এই ‘ফিরে আসায়? বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে এসেও সারাক্ষণ ফেসবুকে ব্যস্ত নববধূ। শ্বশুরবাড়িতে কী কী করছে, সেগুলোও ফেসবুকে পোস্ট করে। ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকে না। বর বুঝতে পারে যে স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত। এর মধ্যে হঠাৎ স্ত্রীর মেসেঞ্জারে এমন কিছু ছবি আসে যা বদলে দেয় মেয়েটির জীবন।
চরিত্রটি নিয়ে তটিনী বলেন, ‘অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে আবার দারুণ একটা গল্পে কাজ করলাম। শুটিংয়ে তিনি অনেক বেশি সহযোগিতা করেন। তার নিজের গল্প হওয়ায় এবার নিজ থেকেও অনেক দৃশ্যে সাহায্য করেছেন। সব সময়ই তার কাছ থেকে শিখি, এবারও তাই।’ নাটকটির পরিচালক রুবেল হাসান। নাটকটি গত সোমবার ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রলেখা গুহ, সমু চৌধুরী প্রমুখ।