দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। অভিনয় জীবনের রজত জয়ন্তী সময়কাল পথচলায় তিনি নাটকেই সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন। বিগত বেশ কয়েক বছরে তিনি সিনেমাতে অভিনয় করেও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। নয় মাস আগে দীপা খন্দকার মুরাদ পারভেজের কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘শেষের গল্প’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। অবশেষে এই নাটকটি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিভি। আগামী ৪ জুলাই এনটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাত ৯.৩০ মিনিটে প্রচার হবে। নাটকে দীপা খন্দকারের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হোসেন শোভন। এদিকে গেলো ঈদ থেকে ‘দীপ্ত প্লে’তে প্রচার চলছে দীপা খন্দকার অভিনীত মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত ‘হাউড অ্যা- সিক’ ওয়েব ফিল্মটি। এই ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের জন্যও দীপা খন্দকার বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন। এছাড়াও দীপার করা নতুন দুটি বিজ্ঞাপন একটি সেভয় আইসক্রিমের এবং অন্যটি প্রাণের অরেঞ্জ ড্রিংকসের জন্যও তিনি বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন। ‘মাতৃত্ব’ খ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘ঋতুকামিনী’ সিনেমাতেও দীপা খন্দকার অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটিও রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। নিজের বর্তমান কাজ এবং প্রচারিত কাজগুলো প্রসঙ্গে দীপা খন্দকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে আসলে আগের তুলনায় কাজ কম হচ্ছে। তারপরও যে কাজগুলোই করছি চেষ্টা করছি ভালো গল্পের বিষয়টা মাথায় রাখার পাশাপাশি নিজের চরিত্রটিও যেন নিজের অন্তত ভালো লাগে। বাকিটাতো আসলে দর্শকের উপর নির্ভর করে সবসময়ই। ওয়েব ফিল্ম হাউড অ্যা- সিক-এ আমার চরিত্রটি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। মাহমুদুর রহমান হিমি খুউব মন দিয়ে যত্ন করে ফিল্মটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। যে দুটি বিজ্ঞাপন এখন নিয়মিত প্রচার হচ্ছে সে দু’টোর জন্যও বেশ ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। আর মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ঋতুকামিনী’র গল্পটাও খুব সুন্দর। জাহিদ ভাই নিঃসন্দেহে গুণী নির্মাতা। তিনি তার মেধা দিয়ে চেষ্টা করেছেন একটি ভালো সিনেমা নির্মাণের। আমি আশাবাদী সিনেমাটি নিয়ে।’ দীপাকে নিয়ে প্রথম নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে মুরাদ পারভেজ বলেন, ‘দীপার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। কিন্তু কেন যেন এতোদিন কাজ করা হয়ে উঠেনি। অবশেষে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা হলো। নিঃসন্দেহে দীপা একজন গুণী অভিনেত্রী। প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করে ভালো লাগলো।’ দীপা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘ভাইজান এলোরে’, ‘পায়ের ছাপ’, ‘অপরাজেয়’, জ্বিন টু’, ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’।