ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হয়েছে সৌভাগ্য ও ক্ষমাপ্রাপ্তির রজনী পবিত্র শবেবরাত। এ বছর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশে শবেবরাত পালিত হয়েছে। আরবি শাবান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতে শবেবরাত পালিত হয়। শরবেবরাত একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হয় যখন মুসলমানরা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করে এবং তাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। বিশ্বাস করা হয়, পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রাতটি উপযুক্ত এবং পুরো বছরের জন্য তাদের সৌভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে মানবজাতির নিরাপদ থাকা ও মানুষের মুক্তির জন্য মহাগ্রন্থ আল কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করেছে। পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তত্ত্বাবধান আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে দেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। এদিন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছেন। এছাড়া গরিব ও দুস্থদের মাঝে অর্থ, খাবার ও মিষ্টান্নও বিতরণ করা হয়।