ঢাকা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা রিপোর্টের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি

গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা রিপোর্টের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা এই হামলায় নিহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তবে গাজায় নিহতের সংখ্যা যা দেখানো হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন।

এমনকি গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা বর্তমানে সামনে আসা সংখ্যার চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪১ শতাংশ কম রিপোর্ট করা হয়েছে।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় চলমান সংঘাতে ভূখণ্ডটির জনসংখ্যার ৩ শতাংশ মারা গেছে বলে গত শুক্রবার প্রকাশিত নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এলএসএইচটিএম)-এর গবেষকদের একটি স্বাধীন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৪ হাজার ২৬০ জনের আঘাতজনিত মৃত্যু হয়েছে।

যদিও গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই যুদ্ধে ৩৭ হাজার ৮৭৭ জনের নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এই গবেষলার ফলাফলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ চলমান এই সহিংসতার কারণে মারা গেছে।

তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই নারী, শিশু এবং বয়স্ক মানুষ। আনাদোলু বলছে, গবেষকরা আঘাতজনিত আঘাতের মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করতে ‘ক্যাপচার-রিক্যাপচার অ্যানালাইসিস’ নামে পরিচিত একটি পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন এবং তথ্যের উৎসগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ও হাসপাতালের মর্গের রেকর্ড, অনলাইন জরিপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত মৃত্যুর তথ্যও রয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, আঘাতজনিত মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য আন্ডার রিপোর্টিং গাজার স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর অবনতি এবং চলমান সহিংসতার মধ্যে নিহতের সংখ্যা গণনা করতে অক্ষমতাকেই সামনে তুলে ধরে।

আনুমানিক আন্ডার রিপোর্টিং হারের ওপর ভিত্তি করে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ট্রমাজনিত আঘাতের মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়, যা সেই সময়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ৪২ হাজার বলে জানিয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত