ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্কের মুখে কানাডা-মেক্সিকো

আজ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্কের মুখে কানাডা-মেক্সিকো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনি প্রচারণার সময় কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর তা বাস্তবায়ন করছেন তিনি। আজ শনিবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসতে যাচ্ছে। তবে কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক বসতে পারে তা জানাননি তিনি। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হচ্ছে। মার্কিন সীমান্তের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিলের প্রবাহ এবং বাণিজ্যিক ঘাটতি সমাধান করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই শুল্ক তেল সম্পর্কিত হবে কিনা তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় কানাডা ও মেক্সিকো বলেছিল, তারা মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে তারা নিশ্চিত করতে চায়, মার্কিন সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ সমাধানে কাজ চলছে। মার্কিন তেল শোধনাগারগুলোর কাঁচামালের প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়, যার বেশির ভাগই কানাডা থেকে আসে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা তেলের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে এটি ট্রাম্পের জীবনযাত্রার খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি খর্ব করতে পারে। চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘চীন নিয়ে আমি ভাবছি। তারা আমাদের দেশে ফেন্টানিল পাঠাচ্ছে, আমাদের দেশে শত শত মৃত্যুর কারণ। চীনকেও এর জন্য একটি শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়ায় আছি।’ নির্বাচনি প্রচারণার সময়, ট্রাম্প চীনে তৈরি পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে হোয়াইট হাউসে ফেরার দিনে আর এ নিয়ে কোনো নির্বাহী আদেশ দেননি তিনি। পরদিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে ফেন্টানিলসহ মাদক পাচারের অভিযোগে চীনের ওপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। পরে এই নির্দেশের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। বরং প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেছিলেন। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ শুল্ক। তার বিশ্বাস, শুল্ক আরোপ বা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, চাকরি রক্ষা করা এবং কর রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আমেরিকার নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যেতে পারে। বিদেশি পাল্টা পদক্ষেপের কারণে ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়তে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত