ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লিবিয়ায় ২৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার

লিবিয়ায় ২৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় কমপক্ষে ২৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি স্থান থেকে এ সব লাশ উদ্ধার করা হয় বলে দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর এবং লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। লিবিয়ার আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি থেকে প্রায় ৪৪১ কিলোমিটার দূরে জিখারা এলাকার একটি খামারের মধ্যে গণকবরে ১৯টি লাশ পাওয়া গেছে। নিহত অভিবাসীদের মৃত্যু চোরাচালান কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেও জানানো হয়েছে। লিবীয় এই অধিদপ্তর লাশ উদ্ধারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে এবং সেখানে পুলিশ অফিসার ও জালু রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের লাশগুলোকে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখতে দেখা যায়। পৃথকভাবে, লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বলেছে, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জাউইয়া শহরের দিলা বন্দর থেকে নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ১০ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে।

রেড ক্রিসেন্টও ছবি পোস্ট করেছে যেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের ডকসাইডে সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে লাশ রাখতে দেখা যাচ্ছে। আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর বলেছে, ‘খামারে মোট তিনটি কবরে লাশ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে একটিতে একজনের লাশ, দ্বিতীয় কবরে চারজনের এবং অবশিষ্ট কবরে ১৪টি লাশ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার জন্য লাশগুলোকে ফরেনসিক ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। আর এর পর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে লিবিয়া। মূলত উন্নত জীবনের আশায় মরুভূমি এবং ভূমধ্যসাগর জুড়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে অভিবাসীরা। কিন্তু সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এই রুট পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মারা যায়। গত জানুয়ারি মাসের শেষে আলওয়াহাত অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলেছিল, সাব-সাহারান আফ্রিকান বিভিন্ন জাতীয়তার ২৬৩ অভিবাসীকে মুক্ত করেছে তারা। এ সব অভিবাসী ‘অত্যন্ত খারাপ মানব ও স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতিতে একটি চোরাচালান চক্রের হাতে আটক ছিল।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত