চীনের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই এই প্রথমবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকল যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের তিন সপ্তাহের মাথায় চীনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে দুইটি যুদ্ধজাহাজ পাঠালেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দুইটি যুদ্ধজাহাজ গত মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে বলে দেশটির নৌবাহিনী সূত্র জানিয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে সে দুইটি তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হচ্ছে না। আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রালফ জনসন এবং পাথফাইন্ডার শ্রেণির সমীক্ষক জাহাজ ইউএসএনএস বাউডিচ উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখে প্রণালী পার হবে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। পুরো বিষয়টিকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটনের ওই যুক্তি মানতে নারাজ চীন। শি জিনপিং সরকারের অভিযোগ এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে। উল্লেখ্য, তিন বছর আগে চীন-তাইওয়ান সংঘাতের আবহে ওই প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ঢুকেছিল। তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিকেও মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন। পরবর্তী সময় তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌ-সেনার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বার্ক শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট ইউএস চুং হুনের উপস্থিতি ঘিরেও ওয়াশিংটন-বেজিং তরজা হয়েছিল।