যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সে আগুনে ঘি ঢেলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল। পূর্বসূরি এই প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রাখায় আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ মন্তব্যের এক দিন আগে ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। গত রোববার তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েছে, যা এরইমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়েছে। তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে আরও বড় রাজনৈতিক বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত করারও চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প, যা শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি নতুন বইকে কেন্দ্র করে। বইটিতে দাবি করা হয়, প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউস তা গোপন রাখে। গত সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘জনগণকে আরও অনেক আগেই কেন এ বিষয়ে জানানো হয়নি, তা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি। এ পর্যায়ে পৌঁছাতে, স্টেজ নাইনে যেতে অনেক সময় লাগে।’
নিজ কার্যালয় থেকে গত রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েছে, যা এরইমধ্যে তার হাড়ে ছড়িয়েছে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের একটি আক্রমণাত্মক ধরনে আক্রান্ত তিনি। সম্ভবত এখানে ট্রাম্প এ মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেনের কার্যালয় থেকে দেওয়া ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বাইডেনের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল, বাইডেনের ক্যান্সার ‘গ্লিসন স্কোর ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫)’ পর্যায়ের। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির তথ্যানুযায়ী, প্রোস্টেট ক্যান্সার যখন খুব অস্বাভাবিক আচরণ করে, তখন তাকে সর্বোচ্চ গ্রেড ৫ দেওয়া হয়। গ্লিসন স্কোর সর্বোচ্চ ১০ পর্যন্ত যায়, বাইডেনের স্কোর ৯; যা তার রোগ কতটা গুরুতর তা নির্দেশ করে। বাইডেনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর এএফপি কয়েকজন ক্যান্সারবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলেছেন, স্ক্রিনিংয়ের সীমাবদ্ধতার কারণেই হয়তো বাইডেনের অবস্থা এত দিন অজানা থেকে গেছে।