ইসরায়েল ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। এই হামলার প্রথম দফা হামলা শুরু করার প্রায় ৩০ মিনিট আগে ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি রহস্যময় বার্তা দিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘জেরুজালেমে আমাদের দূতাবাসে এবং পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি। আমরা সারারাত এখানেই থাকব। জেরুজালেমের শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন!’
এই মন্তব্যটি কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক পোস্ট করা একটি বার্তায় বলা হয়, এই অঞ্চলের মার্কিন দূতাবাসগুলোকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এসব হামলায় ইরানের একাধিক সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামিও।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের আচমকা হামলায় ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসিও নিহত হয়েছেন। তেহরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, শুধু আব্বাসি নন, মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি নামের একজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এ হামলায় নিহত হয়েছেন। ইরানে ইসরাইলের চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত কিনা, জানালেন রুবিও
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, তেহরানে আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ‘তেহরানের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন।’ ইসরাইল জানিয়েছে, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইসরাইল এ হামলাকে ‘রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে। ইরানের কমান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর পালটা হামলার আশঙ্কায় সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।