মোমিন ও মুসলিম

‘মোমিন’ ও ‘মুসলিম’ দুটি ভিন্ন শব্দ। অর্থেও পার্থক্য রয়েছে। কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায় অতি সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য দেখা যায়। যেমন- ‘মুসলিম’ শব্দটি আরবি ‘ইসলাম’ শব্দ থেকে এসেছে। অর্থ আত্মসমর্পণ করা। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য হিসেবে স্বীকার করে এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নবী ও রাসুল হিসেবে মেনে নেয়, সে মুসলিম। মৌখিকভাবে কালেমা পাঠ করে ইসলাম গ্রহণকারীকেও মুসলিম হিসেবে গণ্য করা হয়। আর ‘মোমিন’ এসেছে আরবি ‘ঈমান’ শব্দ থেকে। অর্থ বিশ্বাস। একজন মোমিন নামমাত্র মুসলিমের মতো শুধু ইসলাম কবুল করে না, বরং মনেপ্রাণে আল্লাহ, নবী-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ে গভীর বিশ্বাস স্থাপন করে। একজন মোমিনের ঈমান তার কর্মে প্রতিফলিত হয়। যে প্রকৃত মোমিন, সে মহান আল্লাহর দেওয়া বিধিবিধান পালনে যথাসম্ভব সচেষ্ট থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বেদুইনরা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। বল, তোমরা ঈমান আননি, বরং বল- আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি। কারণ, ঈমান এখনও তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি।’ (সুরা হুজুরাত : ১৪)। তাই মুসলিম হলেই যে কেউ মোমিন হিসেবে গণ্য হবে না। মোমিন হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে, নিজের ঈমানকে বাস্তব জীবনে কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলিত করা। সুতরাং সব মোমিনই মুসলিম; কিন্তু সমস্ত মুসলিম মোমিন নয়।