উপজেলা সদরসহ দেউলিয়া বাজারে গবাদিপশু জবাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট কসাইখানা না থাকা ও ডাক্তার দ্বারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম না মানায় রুগ্ন, রোগাক্রান্ত ও গর্ভবতী গাভী জবাই করে কসাইদারেরা মাংস বেচাবিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে এলাকার লোকজন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কয়রা সদরে কসাইখানা না থাকায় আশপাশের গ্রাম পায়রাতলার আইট, ফুলতলা, দেউলিয়া খালের পাশে মহারাজপুরের বিল ও বাগানসহ অন্যত্র শেষ রাতে গবাদিপশু জবাই করে সকালে মধুর মোড়, দেউলিয়া বাজার, ইউনিয়ন পরিষদের মোড়ে মাংস বেচাবিক্রি করে আসছে কসাইয়েরা। এলাকার লোকজনের অভিযোগ রোগাক্রান্ত, অসুস্থ গবাদিপশু গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জবাই করে ভোরবেলায় কয়রা বাজারে নিয়ে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতিনিয়ত ফুলতলা গ্রামে রাতের অন্ধকারে গরু জবাই করে ভোরবেলায় দেউলিয়া বাজারে এনে মাংস বিক্রি করছে কসাইদার জাহাঙ্গীর, সাত্তারসহ আরও অনেকে। আবদুল কালাম নামের গরু ব্যবসায়ি মহারাজপুর গ্রামে গরু জবাই করে দেউলিয়া বাজারে মাংস বেচাবিক্রি করছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় দেউলিয়া বাজারে ৮০০ টাকা কেজি দরে মহিষের মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে কসাইদার সাত্তার, জাহাঙ্গীরসহ সঙ্গীয় ৮ জনকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এখানকার কয়েকজন জানায়, মহিষের মাংসের সঙ্গে গাভীর মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে কসাই জাহাঙ্গীর ও সাত্তার বলেন, সলিড মহিষের মাংস বিক্রি করছি গাভীর মাংস মেশানো হয়নি। কসাইদারেরা জানান, বহুবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় কসাইখানা নির্মাণের দাবি করেছি। প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কসাইখানা নির্মাণ হয়নি। সমাজ সেবক আজিজুল ইসলাম আজু বলেন, দেউলিয়া বাজারে জরুরি ভিত্তিতে একটি কসাইখানা নির্মাণ করা প্রয়োজন।