সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগকে ঘিরে দেশজুড়ে প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখে অবশেষে মুখ খুলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন আবদুল হামিদ। আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্র-জনতা। উপদেষ্টাদের পদত্যাগও দাবি করেছেন অনেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশ ছাড়ার ‘সবুজ সংকেত’ পান তিনি। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা বলছে, তার (আবদুল হামিদ) দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা কোনো বাহিনীর আপত্তি ছিল না।