ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মিয়ানমারে নিরাপত্তাবাহিনীর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

মিয়ানমারে নিরাপত্তাবাহিনীর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে জাতিসংঘের স্বাধীন অনুসন্ধানী সংস্থা (আইআইএমএম)। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ২০১৮ সালে গঠিত আইআইএমএম জানায়, মায়ানমারের আটক কেন্দ্রগুলোতে বন্দিদের পিটুনি, বৈদ্যুতিক শক, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, শ্বাসরোধ, এমনকি প্লায়ার্স দিয়ে নখ উপড়ে নেওয়ার মতো নৃশংস নির্যাতন চালান হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এই নির্যাতনের ফলে মৃত্যুও হয়েছে। নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে এমন শিশু রয়েছে, যাদের অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে নিখোঁজ অভিভাবকের পরিবর্তে। আইআইএমএমের প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছি। এতে মায়ানমারের আটককেন্দ্রে পদ্ধতিগত নির্যাতনের চিত্র স্পষ্ট হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরমধ্যে কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও তদন্ত চলমান থাকায় ও তাদের সতর্ক করে দেওয়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করা হয়নি। মায়ানমারের সামরিকপন্থি সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জাতিসংঘের দলটির তথ্য ও দেশটিতে প্রবেশের অনুমতির অনুরোধের জবাবও দেয়নি তারা। এর আগে সামরিক সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করেছে। অস্থিরতার জন্য সন্ত্রাসীদের দায়ী করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের সময়কালে সংগৃহীত তথ্যের ওপরভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য রয়েছে। এতে রয়েছে শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ফরেনসিক প্রমাণ, নথি ও ছবি। মায়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, তখন থেকে কয়েক লাখ মানুষকে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং চার বছরের জরুরি অবস্থা তুলে দিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত