ঢাকা সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

ওলকপি চাষে লাভ বেশি

ওলকপি চাষে লাভ বেশি

অন্যান্য কপি চাষের থেকে ওলকপি চাষে খরচ কম। অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এজন্য হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ওলকপি চাষের প্রস্তুতি নেন।

ওলকপি চাষে তিনি উপজেলা দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের কাছ থেকে গ্রহণ করেন পরামর্শ। পরে পতিত প্রায় ৩০ শতক জমি আবাদ করেন। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রায় ৪ হাজার চারা রোপণ করার প্রায় ৪৫ দিনে মধ্যে ওলকপি পরিপক্ব হয়ে যায়। বিক্রি শুরু হয়েছে। বিক্রি থেকে ৬৫ হাজার টাকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। ওলকপি চাষে সফল হওয়ায় কৃষক আব্দুল আউয়াল খুশি। আব্দুল আউয়াল জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি পতিত জমি আবাদ করেন। আবাদকৃত জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন ক্রিপার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোপণ করেন উন্নতজাতের ওলকপির চারা। চাষে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি শুরু করেছেন। ক্রেতারা আগ্রহের সঙ্গে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বিক্রি থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা আসবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, শীতকালীন সবজি হিসেবে ওলকপি চাষ করেন। বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে পাতামরা রোগ ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও এ জাতের কপি চাষে ঝুঁকি কম। এছাড়া ৪০ থেকে ৪৫ দিনে এ কপি বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। সব মাটিতেই ওলকপি চাষ হলেও হালকা দো-আঁশ মাটি ওলকপি চাষের জন্য উপযোগী। অধিক বৃষ্টিপাত এ সবজি চাষের জন্য ক্ষতিকর। গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার জন্য আলোর প্রয়োজন। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ওলকপি বাহুবলে নতুন ফসল। এ ফসলটি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক আব্দুল আউয়াল। আগামী মৌসুমে আমরা এ সবজিটি চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, ওলকপি চাষ করতে কৃষক আব্দুল আউয়ালকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি ওলকপি করে চাষ করে সফল। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও ওলকপি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। আশা করছি আগামী মৌসুমে ওলকপির চাষ বাড়বে।

তিনি বলেন, খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় ওলকপি চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মূলত এটি একটি শীতকালীন সবজি। এ সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর। কৃষকরা বেশিরভাগ সময়ে চারা রোপণ করে ওলকপির চাষ করে থাকে। তবে চারা রোপণ না করাই ভালো। কারণ এতে কোনো ভাবে রোপণের সময় প্রধান শিকড় ভেঙে যেতে পারে। কৃষি বিভাগের মতে সারিতে বীজ বুনলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট রাখতে হয়। আর চারা রোপণ করলে চারা থেকে চারা ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রোপণ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত