অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত, ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’- এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে চলা নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর, সুফি-সাধক, পীরে কামেল হজরত শাহ্ছুফি আলহাজ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর তিন দিনব্যাপী ৬১তম বার্ষিক ওরস শরিফ গতকাল রোববার বাদ ফজর মিলাদের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম উদযাপিত হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ঐতিহ্যবাহী এই পাক রওজা শরিফের ৬১তম বার্ষিকী ওরস শরিফ।
পবিত্র ওরস শরিফকে কেন্দ্র করে পাক রওজা শরিফ, মসজিদ তথা নলতা শরিফ ও আশপাশের এলাকা নতুন সাজে সেজেছে। অস্থায়ী আবাসন নির্মাণ, মিশন অফিসের সামনে বিগত সময়ের মতো লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে প্রধান তোরণসহ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য তোরণ, প্যান্ডেল, লাইটিং, রন্ধনশালা, খানা মাঠ, বিভিন্ন স্টল, হৃদয়ে আহ্ছান, তথ্য অনুসন্ধান ও প্রচার কেন্দ্র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোল রুম, প্রেস বক্স ও স্কাউট-রোভার স্কাউট কন্ট্রোল রুম, রাস্তাঘাটসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এখানে।
ওরস শরিফের দ্বিতীয় দিনে আজ বাদ ফজর হতে পাক রওজা শরিফে খতমে কোরআন মজিদ, মিলাদ শরিফ ও কুতুবুল আকতাব হাজী হাফেজ হজরত সৈয়দ ওয়ারেছ আলী শাহ (র.)-এর রুহের উপর ছওয়াব রেছানি এবং পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর আত্মীয়-স্বজন ও ভক্তবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা ও আলোচনা সভা। বেলা ১১.৩০টা, বাদ আসর ও বাদ এশা পাক রওজা শরিফে চাঁদর পেশ। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে হজরত রাসুলে করিম (স.) ও আউলিয়াগণের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা শেষে তাহাজ্জদ নামাজ, ফজরের নামাজ ও মোনাজাত।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন অফিসের সামনে খানা মাঠে মিশনের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের মাঝে তবারক বিতরণ করা হবে।
আগামীকাল সকাল ৭টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী ৬১তম বার্ষিক ওরস শরিফের সমাপ্তি ঘটবে। আখেরি মোনাজাতের পূর্বে পাক রওজা শরিফে বিশেষ চাঁদর পেশ করা হবে।