নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণবিরোধী মিছিল শেষ বাড়ি ফেরার পথে অপূর্ব নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সম্রাট নামের একজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে। আটক সম্রাট গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাসির আহমদ। এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় শহিদ মিনারের পাশে ভাষাসৈনিক সড়কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বাবা খোকন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সম্রাট ভাষাসৈনিক সড়কের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন। রাতে সারা দেশে সংঘটিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ছাত্রদলের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ওই সড়ক দিয়ে শেষ হবার সময় পেছন থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন অভিযুক্ত সম্রাট। এ নিয়ে নিহত অপূর্ব ও তার সহকর্মীরা সম্রাটের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে অভিযুক্ত সম্রাট তার কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে অপূর্বের বুকে আঘাত করেন।
ঘটনার পর ছাত্রদলের অপর কর্মীরা সম্রাট ও তার সাথে থাকা আরেক ব্যক্তিকে মারধর করেন। সম্রাটের সাথে থাকা অপর ব্যক্তি দৌড়ে পালালেও সম্রাটকে পরে পুলিশে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে আমাদের ছাত্রদল কর্মী অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
সদর থানার ওসি নাসির আহমদ বলেন, মিছিল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে হাতাহাতির পর ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে আহতকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্তের ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।