ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিকৃত করে গুজব শনাক্ত

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিকৃত করে গুজব শনাক্ত

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিকৃত করে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।

বাংলাদেশে চলমান গুজব ও ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ফ্যাক্টওয়াচ একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা, যা লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিকৃত করে ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শনাক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার পদে আর থাকবেন না ইউনূস, দায়িত্ব নেবেন প্রধান বিচারপতি।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটিএন নিউজের একটি প্রতিবেদনের শুরুর সামান্য অংশ জুড়ে দিয়ে ভিডিওটি ছড়ানো হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনের পরের অংশে এ ধরনের তথ্যকে গুজব আখ্যা দিয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই খণ্ডিত প্রতিবেদনকে বিকৃত বলে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।

আলোচিত ভিডিওটির বিভিন্ন কী ফ্রেমের সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চে এটিএন নিউজের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। যেটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। মূল প্রতিবেদন অংশে বলা হয়, ‘গত ২৭ আগস্ট চীন সফর শেষে দেশে ফেরেন সেনাপ্রধান। এরপরই গুঞ্জন ওঠে, গোপনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান। এই গুঞ্জনের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টার পদে আর থাকতে চাচ্ছেন না মুহাম্মদ ইউনূস, দায়িত্ব নিতে প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান করেছেন সেনাপ্রধান।’ অবশ্য প্রতিবেদনের পরের অংশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বরাতে বলা হয়, এসব গুজব ভিত্তিহীন। প্রায় এক মাস আগের ওই প্রতিবেদনের একটি অংশ নতুন করে আবার অনলাইনে ছড়ানো হয়েছে। এটিকে বিভ্রান্তি ও গুজব সৃষ্টির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপচেষ্টা বলে শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, পুরোনো প্রতিবেদনের একটি অংশ কোন সত্য তথ্য ছাড়াই অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত