
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার হবে পাঁচ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে হল ও হোস্টেল সংসদের জন্য এক পৃষ্ঠা এবং কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য থাকবে চার পৃষ্ঠা। ব্যালট পেপারে প্রথমে প্রার্থীর নাম, এরপর পদবি, তারপর ব্যালট নম্বর এবং সর্বশেষে থাকবে খালি বৃত্ত, যেখানে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর জন্য বৃত্ত ভরাট করবেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনার চেষ্টা করছি। সেজন্যই ব্যালটে প্রার্থীর নাম, পদবি ও ব্যালট নম্বর রাখার পর ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেমনটা ভর্তি পরীক্ষা বা অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় হয়ে থাকে।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চাকসু নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদে যথাক্রমে ১৪ ও ১০টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে শুরু হবে গণনা কার্যক্রম।
চাকসু নির্বাচন ঘিরে বহিরাগত প্রবেশে কঠোর চবি প্রশাসন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ অক্টোবর। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিজ নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/ব্যাংক রশিদ) সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো ব্যক্তিকে সন্দেহজনক মনে করলে তল্লাশি করতে পারে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আগ্রহ থাকায় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য আন্তরিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
আচরণ বিধি লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাখা দিলো শিবির সমর্থিত প্যানেলে : ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ রোধ, পোলিং এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ, সিনেট সদস্য নির্বাচন, পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, নির্বাচনের দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষার্থীদেরকে ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য পরিবহন সুবিধা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় এই সংবাদ সম্মেলন করে তারা। এ সময় সিনেট সদস্য নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের স্পষ্ট জবাব চান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী ইব্রাহিম রনি। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আনা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা প্রদানসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন তিনি। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্যানেলেরসহ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদ হোসাইন তাদের পোশাক সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। অজ্ঞতাবশত ভুল হয়েছে এবং তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।’
নিজের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি শুধু আমার ক্লাস রুমে গিয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আর আমাদের প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী কেন ক্লাসে গিয়েছিলেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যাখ্যা দিবেন।’ এর আগে, গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘বৈচিত্রে?্যর ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া, জিএস প্রার্থী সুদর্শন চাকমা ও এজিএস প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম জসিম।
অভিযোগে বলা হয়, ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব ৮ অক্টোবর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালান যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। একই প্যানেলের প্রার্থী জিহাদ হোসাইন নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন ছবি পোস্ট করেছেন, যা পাহাড়ি সংস্কৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
প্রচারে পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্ররাও : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ঘিরে প্রচার চালাতে প্রার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের কাছে। ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আদিবাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লড়ছেন অন্তত ১২টি প্যানেলের হয়ে। সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকসু নির্বাচনে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪১৫ জন। প্যানেলের দুই শতাধিক প্রার্থীর বাইরে অন্যরা লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যতিক্রমী প্রচার, লিফলেট তৈরি এবং নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে চাইছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আধিপত্য গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে। ছাত্রলীগের আধিপত্য আরও আগে থেকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্রলীগের আধিপত্যের কাছে ছাত্রশিবির বা অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে তেমন কোনো রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারেনি। গত বছরের ৫ অগাস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এবার চাকসু নির্বাচন হচ্ছে সরকারি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাড়া।
ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশের এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত বছর দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দলীয় রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়েছে। তারা দলের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকবেন, এমন আশা থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্রদের জয়ী করবেন। চাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আহসান হাবিব, যিনি কবি আহসান হাবিব নামে পরিচিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আহসান হাবিবের ‘বাকপটু’ হিসেবেও পরিচিতি আছে ক্যাম্পাসে। নিজের প্রচারপত্র বানিয়েছেন মাটির ব্যাংকের আদলে।
স্বতন্ত্র এ ভিপি প্রার্থী বলেন, আমি হলে হলে যাচ্ছি; প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের পর থেকে তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে থাকতে চান না। আহসান হাবিরের ভাষ্য, ক্যাম্পাসে ‘বিভিন্ন কিছুতে’ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকায় তিনি অনেকের কাছে পরিচিত মুখ। এতে তার প্রচারে সুবিধা হয়েছে। সবার কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
এদিকে নাট্যকলা বিভাগের ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিববুর রহমানও লড়ছেন ভিপি পদে। তিনি বলেন, জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, ‘গোত্রের’ বাইরে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য যে নেতৃত্বের গুনাবলী থাকা প্রয়োজন, তা দেখাতেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, জয়ী হতে না পারলেও তিনি ভবিষ্যতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘অনুপ্রেরণার’ অংশ হবেন। তাকে দেখে অন্যরাও দলের বাইরে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার সাহস পাবেন। এ ভিপি প্রার্থী বলেন, আমি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ চাই। রাজার ছেলে রাজা হবে, সে কথায় আমি বিশ্বাসী না। যার নেতৃত্বের গুণাবলী আছে, তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।
তাদের ভাষ্য, তারা গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেও তাদের মূল পরিচয়, তারা বন্ধু। তিনি বলেন, দলের ব্যানারে না থেকে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করায় আমাদের প্রথম বাধা হচ্ছে লোকবল এবং অর্থনৈতিক সংকট। জিএস পদের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ যায়েদ মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিকে। তারা দলীয় রাজনীতির বাইরে আসতে চান। জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছিল কোনো দলের হয়ে নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশা করছে, কোন দলের প্রার্থী যেন না আসে; স্বতন্ত্ররা যেন উঠে আসে। আমি শিক্ষার্থীবান্ধব ইশতেহার তৈরি করেছি। আমার আশা, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমার পক্ষে থাকবেন।
চাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদ মনে করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সচেতন হলেও অনেকেই সামাজিক বাস্তবতায় রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, দলীয় প্যানেলে যারা নির্বাচন করছেন, তাদের জনবল এবং অর্থ আছে। সে হিসাবে পিছিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবুও আমি আশাবাদী। আমি রাজনীতি সচেতন। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকতেই মূলত নির্বাচন করছি। ভিপি, জিএস, এজিএস পদের বাইরে অন্যান্য সম্পাদকীয় পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ব্যতিক্রমী প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আবার অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিভিন্ন জেলা ও এলাকাভিত্তিক সংগঠনের ভোটের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী হয়েছেন। পাঠাগার সম্পাদক পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিব হোসেন দিহান মনে করেন, এলাকাভিত্তিক ভোট তাকে অনেক এগিয়ে নেবে।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এ শিক্ষার্থী বলেন, তার নির্বাচনে অন্যতম শক্তি আদিবাসী শিক্ষার্থী এবং এলাকার ভোট। দিহান বলেন, আমাদের বিভাগে অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী আছেন। তারা আমাকে সমর্থন করেছেন। তাদের নির্দিষ্ট কিছু ভোট আছে, আবার তাদের কিছু বন্ধুবান্ধব আছে, তারা আমার জন্য ভোট খুঁজছেন। এদিকে গানে-নাটকে ব্যতিক্রমী প্রচার চালাতে দেখা গেছে সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সঙ্গীত বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের জাহিদুল ইসলাম জিকু ও সহ-সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নাট্যকলা বিভাগের উলফাতুর রহমান রাকিবকে। কোনো প্রচারপত্র তৈরি না করে জিকু তার প্রচার চালাচ্ছেন গানের মাধ্যমে। আর রাকিব গ্রামের প্রবীন মানুষ সেজে নাটক করে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছেন। এদিকে স্কেটিং করে প্রচার চালাতে দেখা গেছে সহ-সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর মণ্ডলকে।
প্রসঙ্গত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, চাকসুর ভিপি পদে ২৪ জন, জিএস পদে ২২ এবং এজিএস পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। চাকসু নির্বাচনে জিএস পদে লড়ছেন নুর মোহাম্মদ বাপ্পী ও আবদুল্লাহ যায়েদ। দুই জনই ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।