
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও আপ বাংলাদেশের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফারইস্ট মিলনায়তনে এই সভায় অংশ নেয় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও। যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন- আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বক্তব্য দেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. ওয়ারেসুল করিম বুলবুল, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলি আহসান জুনায়েদ, এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মেজর (অব) আব্দুল ওহাব মিনার, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আপ বাংলাদেশের সদস্য সচিব আরেফিন হিজবুল্লাহ, প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদার ভুইয়া প্রমুখ। গত কয়েকদিনে সরকার প্রধানের সঙ্গে নির্বাচনকালীন প্রশাসন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় বিস্ময় প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, যেনতেন নির্বাচনই বড় রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। জুলাই যোদ্ধাদের লড়াই শেষ হয়নি, নির্বাচনের পরই সব সমাধান হয়ে যাবে মনে করা বোকামি হবে। আগামীতেও গণমাধ্যমকে শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাইয়ের সব শক্তিকে ভুল সংশোধন করে আবার রাজপথে নামতে হবে। আবু সাঈদ যেজন্য জীবন দিয়েছে সেটি ধরে রেখে নতুন লড়াই শুরুর ঘোষণা দেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোকে গত ১৭ বছরের লড়াই স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ক্ষমতা আর জনতাকে আলাদা করার সুযোগ নাই, জনগণের কাছেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন নয়, ৪৬ বা ৭০ সালের মতো এই নির্বাচন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ নির্বাচনের মত এবার যেন টাকার খেলা না হয়, এবার জনগণকে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হবে। অভ্যুত্থানের অনেক নেতা বিলাসকে বেছে নিয়েছে।