ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

দশমিনায় কমলার বাম্পার ফলন

দশমিনায় কমলার বাম্পার ফলন

গ্রামের একটি বাগানের ঘন সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে নজরকাড়া কমলা। গাছজুড়ে ফলের রসে টইটম্বুর পাকা এ কমলার থোকা। এ যেন রসালো চায়না কমলার রঙিন হাসি। দূর থেকে মনে হয়, গাছের পাতার ফাঁকে উজ্জ্বল আলো জ্বলছে। কমলার বাগান দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। ছবি তুলছেন অনেকে। এই সুমিষ্ট কমলা চাষে সফলতার মুখ দেখছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানি গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান। বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে মাসে প্রায় অর্ধলাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

১৯৯১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে স্বর্ণপদক অর্জনকারী কৃষক আনিসুর রহমান জানান, দেড় বছর আগে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি যশোর জেলা থেকে ৪০টি চায়না থ্রি জাতের কমলার চারা সংগ্রহ করে বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছে শয়ে শয়ে সুমিষ্ট কমলা ধরেছে। যা ইতোমধ্যে বাজারজাত শুরু করেছেন। কৃষক আনিসুর রহমান আরও জানান, তিনি তার বাগানে কমলার চারার সংখ্যা বাড়াচ্ছেন। চায়না থ্রি জাতের কমলার আকার ও রং বেশ আকর্ষণীয়। বাজারের কমলার চেয়ে স্বাদ ও রস অনেক বেশি। এতে তিনি কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করছেন না। তিনি বলেন, আমার রোপণ করা প্রায় সবগুলো গাছেই ফলন এসেছে। আশা করি, কমলার চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশে আমদানিনির্ভরতা কমবে। তরুণ ও বেকারদের কমলা চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষক আনিসুর রহমান উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে কমলার চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার বাগানের কমলা গাছে ভালো ফলন হয়েছে এবং প্রতিটি কমলা সুমিষ্ট। এই কমলা বাজারজাত করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। বছরে কমলা বাগান থেকে লাখ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্য কৃষকরা চাইলে কমলা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কৃষি বিভাগ আগ্রহী কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত