
রসে ভরপুর ও স্বাদে অনন্য বিদেশি হলুদ মাল্টা এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতেই। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম হোসেন এই মাল্টা চাষে অর্জন করেছেন নজরকাড়া সাফল্য। ২০২৩ সালে জীবননগরের নাজমুল নার্সারি থেকে ২০০টি হলুদ মাল্টার চারা কেনেন সেলিম হোসেন। প্রতিটি চারা ১০০ টাকা দরে কেনা হয়। পরে সেগুলো দুই বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। দুই বছরের পরিচর্যা, সার, সেচ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে জমিতে ব্যয় হয় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মতো।
এবার প্রথমবারের মতো তার বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে পরিপক্ব হলুদ মাল্টা। প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। সব খরচ বাদ দিয়েই চলতি মৌসুমে সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকার লাভ হবে বলে আশা করছেন সেলিম হোসেন।
শুধু মাল্টা নয়, বর্তমানে তিনি ড্রাগন, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করছেন। সেলিম হোসেন জানান, বিদেশি ফলের চাষে দেশের কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক পরিচর্যা ও আগ্রহ থাকলে এই মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই তার কাছে পরামর্শ নিতে আসছেন।
দামুড়হুদা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তা মো: মামুনুর রশীদ বলেন, সেলিম হোসেনের হলুদ মাল্টা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। চাষ সম্প্রসারণ হলে এলাকার কৃষকের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের বাজারেও মিলবে উন্নতমানের মাল্টা।