ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বাহুবলে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সাফল্য

বাহুবলে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সাফল্য

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের কৃষক তৌহিদ মিয়া শসা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। শসা চাষে লাভবান হওয়ায় তার মুখে হাসি ফুটেছে। শসা চাষে ব্যবহার হয় মালচিং পদ্ধতি ও জৈব বালাইনাশক। পোকা দমনে ব্যবহার হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ। নিজ বাড়ির পাশে প্রায় ৪০ শতক জমিতে চাষে ৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। শুরু হয়েছে শসা বিক্রি। দেড় থেকে ২ লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন ওই কৃষক। তার এই সফলতা দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন শসা চাষ। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন চাষের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে- দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে কৃষক তৌহিদ মিয়া ওই পরিমাণ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রিন লাইন জাতের শসা চাষের উদ্যোগ নেন। জমিতে বীজ রোপণ করেন। কিছু দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার চারা গজায়। চারাগুলোর ওপর বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরি মাঁচানে লতাপাতা বিস্তার করতে শুরু করে। রোপণ করার ৩৬ দিনের মধ্যেই মাঁচায় ঝুঁলছে শসা আর শসা। গাছ থেকে সংগ্রহ করে প্রতি কেজি শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আরও প্রায় ৪৫ দিন পর্যন্ত গাছ থেকে শসা সংগ্রহ করা যাবে।

এ বিষয়ে কৃষক তৌহিদ মিয়া বলেন, উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম স্যার আমাকে সাহস ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমি জমি আবাদ করে কঠোর শ্রম দিয়েছি। প্রায় ৪০ শতক জমিতে শসা চাষ করে চমৎকার ফলন পেয়েছি। এ শসা সংগ্রহ করে পুরানবাজার ও মিরপুরে নিয়ে বিক্রি করছি। অনেক সময় পাইকাররা খেতে এসে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী মৌসুমে আরও বেশি পরিমাণে জমি আবাদ করে শসার চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে। আমার ন্যায় এলাকার অন্যান্য কৃষকদেরও শসা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। স্থানীয়রা বলেন, গ্রিন লাইন জাতের শসা চাষ আমাদের এলাকায় তেমন একটা হয় না। এখানে মো. তৌহিদ মিয়ার ওই জাতের শসা চাষ দেখে আমাদেরও আগ্রহ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে আমরাও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি শসা চাষ করব।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, শসা চাষের ব্যাপারে মো. তৌহিদ মিয়াকে সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। আরও যারা শসা চাষ করতে চান আমরা তাদেরকেও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু বলেন, বাহুবলে শসা চাষ তেমন একটা হতো না। সেখানে মো. তৌহিদ মিয়াসহ কিছু কৃষক শসা চাষ করছেন। ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। ভবিষ্যতে শসা চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত