
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বর্তমানে বড় বড় দুর্নীতির অনেকাংশই আইটি সাপোর্টে করা হয়। আমরা যত ক্যাশলেস ট্রানজেকশনে ঢুকছি, দেখা যাচ্ছে যে অনেক দুর্নীতি যেটা সেই আগের মতো টাকার বস্তা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে না, নিমিষেই একটা ক্লিকের জোরেই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এদিন উপদেষ্টা পরিষদে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়ে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর একটি কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের দুর্নীতি কী কী এবং কীভাবে দমন করা যায়- এ বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। সেই কমিশন একটি বড় রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। সেই আলোকেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে কীভাবে আরও অ্যাফেক্টিভ (কার্যকর) একটা সংগঠন করা যায়, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার আমলে যেভাবে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছিল সেটাকে কীভাবে রোধ করা যায়- সে বিষয়ে ‘দুর্নীতি দমন আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।তিনি জানান, এর অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করেছেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, নতুন অধ্যাদেশে লাস্ট মোমেন্টে এটা একটা ওভারসাইট বডি যেটা বাছাই কমিটি হিসেবে কাজ করার কথা ছিল সেটাকে ড্রপ করা হয়েছে। কেননা আমাদের দেশে দুর্নীতি যেভাবে স্তরে স্তরে (লেয়ারে লেয়ারে) আছে, দেখা যাচ্ছে যে ওভারসাইট একটা বডি করলেও সেখানে আবার দুর্নীতি বিস্তার লাভ করতে পারে।
শফিকুল আলম জানান, এটা একটা পাঁচজন কমিশনার থাকবেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে দু-একজন থাকবেন যাদের আইটি ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। এছাড়া একজন নারী কমিশনার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।তিনি জানান, নতুন আইনে বলা হয়েছে যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজের প্রতিবেদন প্রতি ছয় মাসে অনলাইনে পোস্ট করবে। ?যারা দুর্নীতি দমন কমিশনে আছেন, মূলত অফিসারদের তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
বাউলদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ : প্রেস সচিব বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাচনে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণ কিংবা বাউলদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমি যেটা জানি যে, বাউলদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘সেই অনুযায়ী মানিকগঞ্জের পুলিশ কাজ করছে। অন্যান্য জায়গায় যেখানেই হামলা হয়েছে, সেখানে তারা খুব সাঁড়াশি অভিজান করছে— খুব দ্রুত আপনারা ফলাফল জানতে পারবেন।’