
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরশাদ ও হাসিনার চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য নেই বলেই তারা বারবার পরস্পরের বিরুদ্ধে নানান কথা বলার পরও একটি চূড়ান্ত মুহূর্তে আবার একত্রিত হয়েছেন, হ্যান্ডসেক করেছেন এবং একসঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যনারে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, হাসিনা ও এরশাদ একইভাবে সারা দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। ব্যাংক লোপাট থেকে শুরু করে মানুষের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করা, সবকিছু করেছেন এরশাদ। যার চূড়ান্ত বিকাশ ও একটি ভয়াবহ ম্যানিফেস্টেশন আমরা দেখলাম শেখ হাসিনার আমলে। তিনি বলেন, গত সাড়ে ষোল বছরের এক পৈশাচিক দুঃশাসনের যে ভয়াবহ নমুনা আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তারও অন্যতম সহযোগী কিন্তু ওই দলটিই (জাতীয় পার্টি) ছিল। এখন তারা আবার গণতন্ত্রের পক্ষে সবক দিচ্ছে। অথচ তাদের যেকোনো একটি ভূমিকা শেখ হাসিনাকে হয়তো এতদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় প্রলম্বিত করতো না। বারবার তারা গিয়ে হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করেছেন।
হাসিনা ও এরশাদের কর্মকাণ্ড বর্ণনা করে রিজভী বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়ে তারা দেশের আইনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। এটা এরশাদ যেমন করেছেন, হাসিনাও করেছেন। আজকে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিনটি মামলায় হাসিনার নাকি ২১ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে আইন-আদালতের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর যেখানে প্রভাব বিস্তার করার কিছু নেই, সেখানে তার সাজা হচ্ছে। মোটামুটিভাবে স্বাধীনভাবেই বিচারিক প্রক্রিয়া এবং আদালতগুলো কাজ করছে। সুতরাং এখানে বলার কোনো অবকাশ নেই যে, কোথাও কোর্টকে প্রভাবিত করা হচ্ছে, যেটা শেখ হাসিনা করেছেন।