ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুলাই আন্দোলন

ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের জন্য আরও ছয় লাশ উত্তোলন

ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের জন্য আরও ছয় লাশ উত্তোলন

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের দেহাবশেষ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গতকাল রায়েরবাজার কবরস্থানে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং ময়না তদন্তের জন্য আরও ছয়জনের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. জাসিম উদ্দিন খান জানান, ‘ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়না তদন্তের জন্য গতকাল কবর থেকে আরও ছয়টি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।’ তিনি জানান, ফরেনসিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহগুলো সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনের ১১৪ জন অজ্ঞাত শহীদের মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য গত রোববার সকালে রায়েরবাজার কবরস্থানে উত্তোলন কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত সাত পরিবারের ১১ জন সদস্য তাদের প্রিয়জনদের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার আশায় সিআইডির কাছে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন।

গত রোববার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ সংগ্রহের জন্য দুটি মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে সেগুলো সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দাফন করা হয়। গত সোমবার চারটি মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে বলে সিআইডি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।

আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্দেব্রিদার এবং একটি ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট দলের তত্ত্বাবধানে এই বৃহৎ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কবরস্থানের ভেতরে সংবেদনশীল কাজটি সহজ করতে বিশেষায়িত তাঁবু ও সরঞ্জাম স্থাপন করেছে। গত ৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের জারিকৃত আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলাম কর্তৃক দাখিল করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, যথাযথ ময়না তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও আইনগতভাবে শনাক্তকরণের জন্য মরদেহ উত্তোলন অত্যাবশ্যক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনাক্তকরণ নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দাফন করা হবে।

জুলাই আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি ন্যায়বিচার, দায়বদ্ধতা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত