২১ দফা দাবিতে রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজের শিক্ষার্থীরা দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও গতকাল মঙ্গলবার থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী তাদের দাবির সমর্থনে কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নিতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবির সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরের দিকে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজার রহমান সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, সব দাবি বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব দাবি আমাদের সাধ্যের মধ্যে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। অন্য দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করছি, ভালো ফল মিলবে। নকিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের আশ্বাস নাকচ করে বলেন, তারা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এখানে আসতে হবে। তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ইমরান আহামেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা ২১ দফা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। বিকাল ৫টার পর শিক্ষার্থীরা আবারও আগামীকাল বুধবার তাদের কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সব সুবিধা, ফ্যান, বেঞ্চ, পর্যাপ্ত আলো, হোয়াইট বোর্ড ইত্যাদি নিশ্চিত করা। প্রতি বিভাগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা করা, ক্লাসে প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করা, মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জারি করা উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস রিপ্রেজেনটিটিভ নির্বাচন করা, কলেজে নতুন বিভাগ সংযোজন করা, বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূগোল, গণযোগাযোগ, ফুডল্যাব ও দেশের চাহিদা ভিত্তিক পছন্দের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা। শতাব্দী ভবনে ক্লাস শুরু করা এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একাডেমিক ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা, অধ্যায় রত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আইডি কার্ড নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার জন্য দ্রুত কলেজের গেটের কাছে পুলিশ বক্স নির্মাণ, অডিটোরিয়াম ভবন নির্মাণ, ছাত্রী বিশ্রামাগারের সব সুবিধা প্রদানসহ ২১ দফা দাবি।