ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিমান বিধ্বস্তের স্থান দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

বিমান বিধ্বস্তের স্থান দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের স্থানটি দেখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ফটকে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। পাঁচণ্ডসাত মিনিট পরপর ৮-১০ জন করে উৎসুক লোকজনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিন এ দৃশ্য দেখা যায়। গত সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে কলেজে উৎসুক মানুষের ভিড় লেগে আছে। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার উৎসুক লোকজনের প্রবেশ বন্ধ রেখেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে উৎসুক লোকজন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়েছিল।

গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলের সামনে গিয়ে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। কলেজের প্রধান ফটকে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা উৎসুক লোকজনকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের গতকালও কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েক দিনের মতো কলেজের প্রধান ফটকের সামনে উৎসুক লোকজনের ভিড়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এসেছেন বিমান বিধ্বস্তের স্থানটি দেখতে। কলেজের প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা ৫-৭ মিনিট পর পর ৮-১০ জন করে উৎসুক লোকজনকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন। হাতে ক্যামেরা-বুম থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা বলছিলেন, ‘মিডিয়া ঢুকতে দেওয়া যাবে না। কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে।’ প্রধান ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, সাধারণ মানুষকে আর কতক্ষণ আটকে রাখা যায়? কর্তৃপক্ষ বলেছে, অল্প অল্প করে লোকজনকে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিতে। তারা প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে ৪ নম্বর ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাবে। তবে মিডিয়াকে ঢুকতে দিতে নিষেধ করা হয়েছে। উৎসুক জনতার একজন হিসেবে বেলা ১১টার দিকে কলেজের ভেতরে প্রবেশ করেন এই প্রতিবেদক। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, দোতলা যে ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটির সামনের খোলা জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

বেড়ার মাঝে ফটকের মতো বানানো আছে। সেই জায়গা দিয়ে লোকজন বিমান বিধ্বস্তের স্থানে যাচ্ছে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা করছেন ভিডিও। স্থানটি দেখা শেষ হলে উৎসুক লোকজনকে দ্রুত চলে যেতে বলছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বাইরে কথা হয় এরশাদ আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বিমান বিধ্বস্তের জায়গাটি দেখে তখন বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল ছেলে আবদুর রহমান সিয়াম। তাঁদের বাসা আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার বলে জানালেন। এরশাদ আলী বলেন, ছেলে বিমান দুর্ঘটনার স্থান দেখতে চাইছিল। তাই এখানে আসা। বিমান বিধ্বস্তের জায়গা, পোড়া স্কুল ভবন এগুলো দেখেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত