
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে আবাসিক হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে একাডেমিক ভবনে স্থাপনসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে সংবাদ সম্মেলন করে জোটের নেতারা এসব দাবি উত্থাপন করেন।
তাদের অন্য দুই দাবি হলো, সাতটি আবাসিক হলে কোরআন পোড়ানো, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং সাইবার বুলিং রোধে কার্যকর সেল গঠন করতে হবে। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক তারেক আশরাফ। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রত্যাশা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে পারেনি। একটি মহল ক্যাম্পাসে নিজেদের বেপরোয়া আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশাসনের দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। তারেক আশরাফ বলেন, রাকসু নির্বাচনের তফসিলে আবাসিক হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের ডাকসু নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতায় তারা দেখেছেন, ‘ফলস-লাইন’ তৈরি করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, অর্থ ছড়ানোর মাধ্যমে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডকে ম্যানুপুলেট করাসহ নানা আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে ছাত্র সংসদ দখল করেছিল তৎকালীন ছাত্রলীগ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসগুলোতে সেই ছাত্রলীগ নেই। তবে সন্ত্রাস ও দখলদারির সংস্কৃতি মোটেও হারিয়ে যায়নি। নতুন কোনো অপশক্তির আধিপত্য দ্বারা ছাত্র সংসদ দখল হওয়ার আশঙ্কা থেকে গেছে।