
চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০২৫-২৬) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার। আবেদন করা যাবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। এখনও আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়নি। চট্টগ্রামের শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম কলেজে ১ হাজার ৪০টি আসন আছে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি শুরু হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞান বিভাগে ৬৬০টি ও মানবিকে ৩৮০টি। সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ১ হাজার ৭২৫টির মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৬০টি, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৬১৫টি ও মানবিকে ৪৫০টি আসন আছে। সরকারি সিটি কলেজে ২ হাজার ৪০০টি আসনের মধ্যে দিবা শাখায় বিজ্ঞান বিভাগের ৭০০টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০০টি ও মানবিকে ৫০০টি এবং নৈশ শাখায় ব্যবসায় শিক্ষায় ও মানবিকে আসন ৪০০টি করে আসন আছে। সরকারি কমার্স কলেজে আসনসংখ্যা ১ হাজার।
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে মোট আসন ১ হাজার ৪০০টি। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০০টি করে, মানবিকে আসন ৪০০টি। এছাড়া বেসরকারি বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে আসন ৯০০টি, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজে আসন ১ হাজার ৩২৫টি। নগরের বাইরে হাটহাজারী সরকারি কলেজে ১ হাজার ৫৬০টি, বোয়ালখালীর স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে আসন ১ হাজার ৫০০টি, সাতকানিয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ৫০০টি, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ৩৫০টি, পটিয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ২৫০টি, নিজামপুর সরকারি কলেজে ১ হাজার ২২৫টি, রাউজান সরকারি কলেজে ১ হাজার ৫০টি, ফটিকছড়ি সরকারি কলেজে ১ হাজার, বাঁশখালীর সরকারি আলাওল কলেজে ৯৫০টি, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজে ৯৫০টি, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজে ৯৫০টি, চুনতি সরকারি মহিলা কলেজে ৭০০টি ও সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজে ৬৫০টি আসন রয়েছে।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নগরের কলেজগুলোতেই আসন সংখ্যা সাড়ে ৫১ হাজার। তিন পার্বত্য জেলায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আসন ১ লাখ ২০ হাজার। চট্টগ্রামের কিছু কলেজের আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের যোগ্যতা জিপিএ-৫ ও মানবিক বিভাগে সর্বনিম্ন জিপিএ-৪। সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজে আবেদনের যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৪.৫ ও মানবিকে সর্বনিম্ন জিপিএ-৪। সরকারি কমার্স কলেজে আবেদনের যোগ্যতা জিপিএ-৪.৫৬ নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কলেজ শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ শতাংশ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় না। এ অবস্থায় অনেক আসন থেকে যায়।