ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তবতা যাচাই জরুরি

বললেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তবতা যাচাই জরুরি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা প্রায়ই স্মার্ট জলবায়ু বা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির কথা বলি, তবে এসব প্রযুক্তি দেশের মৎস্যজীবী ও উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবিক অর্থে উপযোগী কি না, তা গভীরভাবে বিবেচনা করা জরুরি। সে কারণেই প্রযুক্তি ব্যবহারে বাস্তবতা যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের লেকশোর হাইটসে ‘বাংলাদেশের জন্য ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিট্রফিক অ্যাকুয়াকালচার প্রযুক্তির (আইএমটিএ) উপযোগিতা বিশ্লেষণ, আইএমটিএ প্রজাতির ভ্যালু চেইন স্টাডি, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক খাতের দ্রুত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও পরিবেশ ও জলবায়ু প্রভাব মূল্যায়ন সম্পর্কিত এক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এ ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করতে হবে যে, উপকূলীয় জনগণ বা মৎস্যজীবীরা প্রযুক্তির বিষয়ে অজ্ঞ। তারা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন না- এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং তাদের প্রথাগত জ্ঞানের মধ্যেও এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা থেকে আমাদের শেখার আছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণের কারণে বর্তমানে নানাবিধ সমস্যা বিরাজমান। এ প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে-বিশেষ করে নারীদের জন্য।

এশিয়া-আফ্রিকা ব্লুটেক সুপারহাইওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকারের ব্লু প্লানেট ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিট্রফিক অ্যাকুয়াকালচার প্রযুক্তি (আইএমটিএ) বাংলাদেশে একটি নতুন বিষয়। এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। ওয়ার্ল্ডফিশের সঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে।

এ সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ প্রযুক্তিকে আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত সিউইড, সবুজ ঝিনুক ইত্যাদির বাজারজাতকরণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভক্ত এবং মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. এসএম রেজাউল করিম।

কর্মশালায় গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন ড. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য গবেষকরা। অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারি খাত ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন, ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. ফারুক-উল ইসলাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত