
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগী ভাগাভাগি ও আইসিইউতে নেওয়া নিয়ে দালালচক্রের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে প্রথম দফায় জরুরি বিভাগের সামনে, পরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতরা হলেন শাহাদাত গ্রুপের নওশাদ, আনিসুর রহমান, রিপু ও রিয়াজ এবং বিল্লাল গ্রুপের ইমন, বাঁধন ও সুমন।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, মূলত আইসিইউ রোগী ভাগাভাগি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। প্রথমে নওশাদকে মারধর করা হয়, পরে শাহাদাত গ্রুপের লোকজন পাল্টা আক্রমণ চালায়।
এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমনের মাথায় গুরুতর জখম হয় এবং বাঁধনের হাত ভেঙে যায়। এর আগে শাহাদাত গ্রুপের সঙ্গে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অন্য আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাকে (শাহাদাত) বহিষ্কার করা হয়। ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. শিপন বলেন, শাহাদাত গ্রুপ ঢাকা মেডিকেল থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান এটা ইমনসহ বেশ কয়েকজন বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সমিতি ঘরের সামনে এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দালাল চক্রের শাহাদাত জানান, রাতে জরুরি বিভাগের সামনে বিল্লাল, সুমন, নাসির,ইমন, দুলাল শাফিনসহ আরও বেশ কয়েকজন নওশাদকে বেধড়ক মারপিট করেন। খবর পেয়ে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি ও এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগের সামনে আমার গাড়ি চালক নওশাদকে বিল্লাল সুমন নাসির ইমন দুলালসহ বেশ কয়েকজন মারপিট করে আহত করেন।
আমি বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, জরুরি বিভাগের সামনে ও হাসপাতালের বাইরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত হলেও সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে।