
বিশ্ব হার্ট দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। এজন্য সরকার ও ডাক্তারদের সমন্বিত প্রয়াস দরকার। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মানসিক চাপ ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব আমাদের এই মহামূল্যবান অঙ্গটিকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সফিকুল কবীর মিলনায়তনে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ম্যাগাজিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হানিফ মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব প্রফেসর ডক্টর মো. শহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার লিমিটেডের সিইও ডাক্তার এমএম রহমান। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ডক্টরস ক্লিনি ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আশরাফ আলী, ইবনে সিনাহ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. মফিজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. আব্দুল হান্নান, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল সাবেক সিইও ডাক্তার আমির হোসেন, হরমোন ও মেটাবলিজম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাকিরা নোভা।
এছাড়াও অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন- মাতৃভূমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনউদ্দিন মিয়া। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেনিথ লাইফ ইন্সুরেন্সের এমডি মো. নুরুজ্জামান মিয়া, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. শাহরুখ আদনান।
মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের পক্ষ থেকে হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি কমাতে সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- দেশের সব গণমাধ্যমে বাধ্যতামূলক হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত প্রচার করা। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে স্বাস্থ্য কর্নার চালু করা।