
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে পেঁয়াজের। সেইসঙ্গে দাম কমেছে কাঁচামরিচসহ কিছু সবজির। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও মাছ-মাংসের দাম। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকায়। পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে কাঁচামরিচের। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাজারে এখন নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৪৮-৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দাম কমলেও ৪০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা কম। সেইসঙ্গে কাঁচামরিচের দামও কমেছে ১০ টাকার মতো।
মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৫০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, মুরগির বাজার গত তিন সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। দাম কমলে বিক্রিও বাড়ে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা থেকে কমে ১০-১৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা থেকে কমে ১০-১৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউয়ের (আকারভেদে) দাম কমে ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, প্রতিকেজি ধনেপাতা গত সপ্তাহের মতোই ২৫-৩০ টাকা, সব ধরনের শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। আপাতত এসব সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বাজারে এখন শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত। এদিকে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ৪০ টাকা পর্যন্ত হালি বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমে ১৩-১৫ টাকা, বাজারে আসা নতুন আলু ৩০-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, সাদা নতুন আলু ১২-১৫ টাকা, বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ৩৫-৪০ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং ঝাউ আলু গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতোই ১৯৫-২০০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল আগের মতোই (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১০০-১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৫-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৬৫-৭০ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭০-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।