ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অর্থ নেই

বললেন মৎস্য উপদেষ্টা
ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অর্থ নেই

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষিভিত্তিক উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে দেশে মাছের সরবরাহ বাড়লেও এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্য নিরাপত্তা। ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর কোনো অর্থ নেই। অ্যাকুয়াকালচারে উৎপাদিত মাছ যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে সেটিকে প্রকৃত অর্থে মাছ বলা যায় না এই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ফোরামের (বিএফআরএফ) উদ্যোগে ১০ম দ্বিবার্ষিক মৎস্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মাছ শুধু পেট ভরানোর খাদ্য নয়; এটি বিশেষ পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। মাছের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যালসিয়ামসহ এমন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা চোখ, হাড় ও মেধা বিকাশে সহায়ক। তিনি আরও বলেন, বাঙালির মেধা বিকাশের পেছনেও মাছভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ এখনো এর পূর্ণ সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি; বর্তমানে মাত্র প্রায় ৩০ শতাংশ সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে। বরং যেটুকু ব্যবহার হচ্ছে, সেখানেও নানা সমস্যা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আর্টিসনাল ট্রলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার ভিন্ন ভিন্ন পথে মাছ ধরছে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারে ব্যবহৃত কিছু প্রযুক্তি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, সাগরে সাতবার গিয়ে একবার মাছ পাওয়ার পদ্ধতি যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি একবারে গিয়ে সব মাছ তুলে আনার জন্য সোনার (সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) প্রযুক্তির ব্যবহারও সঠিক হতে পারে না। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি জানা গেছে ২২৩টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারের মধ্যে প্রায় ৭০টিতে সোনার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যার ফলে সমুদ্রে ওভারফিশিংয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত