
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের চিংড়ির স্বাদ ও মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে শুধু আকার বা স্বাদ বিবেচ্য নয়; রপ্তানিকারক ও উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। গতকাল শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও আড়ৎ মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভারতসহ বাইরের দেশ থেকে অথবা দেশের ভেতরে অবৈধভাবে পণ্য আসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যবসায়ীরাও ন্যায্যভাবে লাভবান হতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত পণ্য ফেলে দিতে হয়, যা সরাসরি জাতীয় সম্পদের অপচয়। বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কৃষিখাতে যে ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হয়, মৎস্য খাত এখনও তা পায় না। তবে গত এক বছর ধরে এ বিষয়ে কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে শিগগিরই প্রায় ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় যে পক্ষই জড়িত থাকুক না কেন, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।
দেশের মৎস্য খাত সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, পদ্ধতিগত ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ এখনো এ খাত থেকে পূর্ণাঙ্গ সুফল অর্জন করতে পারেনি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছের পোনা আহরণে আইনগত সীমাবদ্ধতা থাকায় পোনা উৎপাদন বাড়াতে দেশে হ্যাচারির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের নীতিগত ত্রুটির কারণে চিংড়ি রফতানি খাত পিছিয়ে পড়েছে। রফতানিতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।