ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ

আল-আজহারে ইকবালের সাফল্য

আবু তাকরিম
আল-আজহারে ইকবালের সাফল্য

গত রোববার মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া ও আইন অনুষদে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি মেধাবী গবেষক ও আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন বিন মুহাম্মদ মকবুল আহমদের এমফিল থিসিসের ডিসকাশন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তার গবেষণার শিরোনাম ছিল, ‘ইসলামি ব্যাংকের সামাজিক ভূমিকার ব্যত্যয় : বাস্তব প্রয়োগ ও শরয়ী বিধান’। সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শরিয়া ও আইন অনুষদের ‘মরহুম মুহাম্মদ ফুয়াদ মুহাম্মদ আন-নাদি’ সেমিনার হলে।

অনুষ্ঠানে মুনাকিশ দাখিলি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুরাদ মাহমুদ হাসান হাইদার এবং মুনাকিশ খারিজি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. হুসাইন মুহাম্মদ বাইয়ুমি আশ-শাইখ। প্রধান সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ জামাল মুহাম্মদ আবদুল মাকসুদ এবং সহকারী সুপারভাইজার ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ আফিফি আফিফি।

অনুষ্ঠানে আল-আজহারের বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত শিক্ষকরা ও শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সেমিনারটিকে করে তোলে প্রাণবন্ত ও স্বার্থক। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে অধ্যাপকরা গবেষণার মান, উপস্থাপনা ও মৌলিকত্বে পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গবেষক মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইনকে সর্বোচ্চ ফলাফল মুমতাজ গ্রেডে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন।

সাফল্যের এ আনন্দঘন মুহূর্তে আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ-এর কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে গবেষককে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বখ্যাত জ্ঞানপীঠে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে গবেষক মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও গোটা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার হরশপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন পরিশ্রমী ও মেধাবী। ২০১০ সালে রতনপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে আলিম সম্পন্ন করেন এবং ২০১২ সালে ঢাকার বাইতুল উলুম ঢালকানগর থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করেন। পরবর্তীতে একই বছরের ১৪ নভেম্বর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে মিসর যান। ২০১৩ সালে আল-আজহারের মাহাদে কৃতিত্বের সঙ্গে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। ২০১৭ সালে অনার্স ও ২০১৯ সালে মাস্টার্স (তামহিদি) সম্পন্ন করেন। কঠোর অধ্যবসায় ও অধ্যবৃত্তির পুরস্কারস্বরূপ তাকে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পবিত্র হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়।

গবেষণা-উত্তর অনুভূতিতে তিনি বলেন, ‘এ সাফল্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। অনুষ্ঠানে আজহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দায়িত্বশীল ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আলোচনায় ডক্টররা যেভাবে গবেষণার মূল বিষয় ও ইস্যুগুলো বিশ্লেষণ করেছেন, তা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত