পিপলস ইন্স্যুরেন্স শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি পরিবার। এ পরিবারের সদস্যদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই এটি আজ আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আগামী দিনেও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পিএইচপি ফ্যামিলির সহযোগী প্রতিষ্ঠান পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন। গত শনিবার রাজধানীর বারিধারার ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর দয়া, কঠিন পরিশ্রম, তপস্যা আর খালেস নিয়তের মাধ্যমে জীবনের সফলতা সম্ভব। জীবনে বড় হতে হলে স্বপ্ন থাকতে হবে। নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই সফল মানুষ হওয়া যাবে। পিপলস ইন্স্যুরেন্স আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য এই শিল্পপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই কোম্পানি এতোদূর আসার পেছনে রয়েছে আল্লাহর দয়া, কঠোর পরিশ্রম ও তপস্যা। নবীজী (সা.) বলেছেন, নিয়তের ওপর নির্ভর করবে কাজের ফল। আমরা পৃথিবীতে যত কাজ করি, সমস্ত কাজের ফল নির্ভর করবে নিয়তের ওপর।’ নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে সুফি মিজানুর রহমান বলেন, ‘১০০ টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে শুরু করে আল্লাহ আজ আমাকে এ পর্যন্ত এনেছেন। এর পেছনে রয়েছে আল্লাহর দয়া, কঠোর পরিশ্রম আর সাধনা ও তপস্যা।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পিপলস ইন্স্যুরেন্স একটি কোম্পানি নয়, এটি একটি পরিবার। সেভাবেই থাকতে হবে। পিপলস ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির কোম্পানি। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ও অবদানের মাধ্যমে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’
সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসা, বিশেষ করে সার্ভিস সেক্টরে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি, এদিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। কেবল ব্যবসা করলাম, বিষয়টি এমন নয়। অটোমেশন, প্রযুক্তির ব্যবহার, ম্যানেজমেন্ট স্টাইল ইত্যাদিতে বিশ্বব্যাপী অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, পিপলস ইন্স্যুরেন্সেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।’ আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্সের ওপর অনেকের আগ্রহ আছে। তারা দেখছেন, এ সেক্টর কোথায় যাবে।
কারণ বিদেশে সার্ভিস সেক্টরের মধ্যে ইন্স্যুরেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। তাদের যদি আমরা পার্টনারশিপে আনতে চাই, তাহলে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, ব্র্যান্ডিংয়ে কতটুকু পরিবর্তন এসেছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা ব্যবসা করছেন, তারা কিন্তু তাদের কোম্পানিকে নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করছেন। আমি মনে করি, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সেই সক্ষমতা আছে।’ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান খালেদ, পরিচালক আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।
