মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারেন সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে। এ কর্মসূচির আওতায় পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে। উপদেষ্টা গতকাল সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কতৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে চালু থাকবে। সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যে সব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর কারণে দেশের খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু খুব দ্রুত এই রোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমানে এ রোগ খামারিদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ। এই রোগের আক্রান্তের হার প্রায় ৩০% এবং আক্রান্ত গবাদি পশু ৫-১০% মারা যায়, যা খামারিদের জন্য খুব উদ্বেগের কারণ। আমদানি করা ভ্যাক্সিনের দাম কোম্পানি ভেদে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত হলেও সরকার খঝউ ভ্যাকসিন উৎপাদনসহ গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে ৫০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবু সুফিয়ান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবদুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।