ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান বাড়াতে চায় সরকার

অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান বাড়াতে চায় সরকার

অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান বাড়াতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। জনশক্তির দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদ ব্যবহার করে শ্রমঘন শিল্পায়নের জন্য কাজ চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ফারস হোটেল শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত কর্মশালায় শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম। সভাপতিত্ব করেন এনপিওর মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এরইমধ্যে এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০২১-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে’। শিল্প সচিব বলেন, যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান অপরিসীম। যে দেশ যত বেশি শিল্পসমৃদ্ধ, সে দেশ তত উন্নত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও শিল্প খাতের অবদান বাড়ছে। কৃষি থেকে দ্রুত শিল্পোন্নত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশীয় কাঁচামাল ও সম্পদ ব্যবহার করে শ্রমঘন শিল্পায়ন করতে চায়। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগত সুবিধাকে নিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। জনশক্তির দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। তিনি বলেন, শিল্প উন্নয়ন টেকসই ও স্থিতিশীল করতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো জরুরি। প্রতিবেশি দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা উৎপাদনশীলতায় তাদের অবস্থান অনেক এগিয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকাশিত এপিও প্রোডাকটিভিটি ডেটাবুকের (উৎপাদনশীলতার তথ্য) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রমিক প্রতি উৎপাদনশীলতার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এখানে ভারতের ৪ শতাংশ, চীনের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, পাকিস্তানের ২ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের জন্য উৎপাদনশীলতার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হওয়া সম্ভব। নূরুজ্জামান বলেন, এনপিও একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যা দেশের শিল্প, সেবা ও কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০২১-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত