বিশ্ববাজারে স্বর্ণ রেকর্ড দামে পৌঁছানোর পর ফের কিছুটা কমেছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে পারস্পরিক শুল্কের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে শুল্কের পরিকল্পনা ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকায় দাম প্রতি আউন্সে ৩ হাজারে ২০০ ডলারের উপরে স্থির রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) অনুযায়ী সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে স্পট গোল্ড ০.৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২২৩.১২ ডলার। এর আগে, দিনের শুরুতে স্বর্ণ রেকর্ড ৩ হাজার ২৪৫.৪২ ডলার স্পর্শ করে। মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারস ০.২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৮.২০ ডলার।
ওআন্ডার মার্কেটপালসের বিশ্লেষক জেইন ভাওদা বলেছেন, ‘সকালে বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইলেকট্রনিক্স ও স্মার্টফোনকে শুল্কের আওতা থেকে বাদ দিয়েছেন। এতে করে কিছুটা লাভ তুলে নেয়া হয়েছে, যা স্বর্ণের দামে পতনের কারণ হতে পারে।’ স্বর্ণ সাধারণত ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। গত ১১ এপ্রিল হোয়াইট হাউস জানায়, চীনের ওপর আরোপিত কঠোর পারস্পরিক শুল্ক থেকে স্মার্টফোন, কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে ১৩ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আমদানিকৃত সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্কের হার এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। ভাওদা বলেন, ‘স্বর্ণের দামে এই পতন সম্ভবত অস্থায়ী। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শিগগির কোনো বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য শুল্ক চ্যালেঞ্জ চলমান রয়েছে, যা নিরাপদ সম্পদের চাহিদাকে উর্ধ্বে রাখছে। তাছাড়া দুর্বল মার্কিন ডলারও স্বর্ণের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলছে।’ বড় ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্বর্ণের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী গোল্ডম্যান স্যাকস। তারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছে।